এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নন এমপিও শিক্ষকের অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্তের চেয়ার দখল

মোঃ রাসেল মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার

বরগুনার তালতলীতে একটি নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা, কোনো এক অজানা, অদৃশ্য ও অপশক্তির প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে “দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে খুঁটি গেড়ে বসে আছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও সংশোধিত এম.পি.ও নীতিমালা ২০২১ এর ১৩ অনুযায়ী এম.পি.ও. ভুক্ত শিক্ষক জ্যেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেলেও ২০২২ সাল থেকে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে আছেন শাহ্ নূরজাহান। এছাড়াও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বেগম নূরজাহান নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ২০০৩ সালে স্থাপিত হয়। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি এম.পি.ও.ভুক্তির আবেদন করলে ২০২২ সালের ৬ জুলাই শাহ্ নূরজাহানের কাগজপত্র জটিলতার কারণে তিনি ব্যতীত অন্যরা এম.পি.ও.ভুক্ত হন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা তাঁদের সংশ্লিষ্ট পদে প্রথম এম.পি.ও. ভুক্তির তারিখ থেকে গণনা করা হলেও নন এম.পি.ও শিক্ষিকা শাহ্ নূরজাহান অলৌকিক ক্ষমতা বলে এখনো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে গমনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও তিনি এ প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন ক্লাস চলাকালীন সময়ে তিনি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী খুঁজতে গিয়েছেন। যাহা শিক্ষা নীতিমালা বহির্ভূত।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে এসে হাজিরা দিয়ে প্রতিদিনই কোথায় যেন যায়। ১০ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত থাকা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন করলে জানা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ৩ জন। ৭ম শ্রেনীতে ১ জন। ৮ম শ্রেনীতে কেউ নেই এবং ৯ম শ্রেনীতে ৪ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত আছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শাহ্ নূরজাহান বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি প্রদান করে, এ প্রতিবেদককে বলেন তুমি আমার ছোট ভাই। আমরা একসাথে বিকেলে অথবা কাল চা খাব।

গভর্নিংবডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, নীতিমালা বহির্ভূত কাজ করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক উপ-পরিচালক মাহবুবা হোসেন বলেন, নূরজাহান স্কুল আমি কখনো ভিজিট করিনি। এই বিষয় গুলো আমার জানা নেই। আপনারা এই বিষয়ের ওপর রিপোর্ট করেন।

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন