চলতি বছর ৩৪টি দেশে দুই হাজার ৭০০ টন আম রফতানি করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় এক হাজার টন বেশি। গত বছর ২৮টি দেশে মোট এক হাজার ৭৫৭ টন আম রফতানি হয়েছিল।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, বিশ্ববাজারে দেশের আমের বিপুল চাহিদা থাকলেও উত্তম কৃষি চর্চাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আম উৎপাদন ও প্যাকেজিং না হওয়ায় রফতানির পরিমাণ কম। আম রফতানি বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় রফতানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর আরও ১৫-২০ দিন আম রফতানি হবে।
চলতি বছর ৩৪টি দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্যে এক হাজার ২৫৬ টন, ইতালিতে ২৯৬ টন, সৌদি আরবে ২৬০ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩৭ টন, কাতারে ১১১ টন, সিঙ্গাপুরে ৫৫ টন, সুইজারল্যান্ডে ১৪ টন, জার্মানিতে ৭০ টন, ফ্রান্সে ৮৫ টন, সুইডেনে ৬৫ টন, কুয়েতে ২১৮ টন, কানাডায় ৪০ টন আম রফতানি করা হয়েছে।
দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রফতানির পরিমাণ অনেক কম। ২০১৭-১৮ সালে মাত্র ২৩২ টন, ২০১৮-১৯ সালে ৩১০ টন, ২০১৯-২০ সালে ২৮৩ টন, ২০২০-২১ সালে ১৬৩২ টন, ২০২১-২২ সালে এক হাজার ৭৫৭ টন আম রফতানি হয়েছে।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আমের বিপুল চাহিদা থাকায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আম উৎপাদন ও প্যাকেজিং করার জন্য যে প্রকল্প করা হয়েছে সেই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান প্রকল্প কর্মকর্তা।