ভারতের গোয়ায় চোরাও দ্বীপ কোনো লুকানো রত্ন নয়। কারণ দ্বীপটি রাজধানী শহর পাঞ্জিম থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে। চোরাও অত্যন্ত নির্মল। যারা দর্শনীয় স্থান হাতছাড়া করতে পারেন না, চোরাও দ্বীপ তাদের জন্য সঠিক জায়গা।
এ দ্বীপকে অনন্য ও জনপ্রিয় করে তুলেছে—প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রাণবন্ত বন্যপ্রাণী, ঐতিহ্যবাহী গোয়ান শিকড়। চোরাও দ্বীপ নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে।পাঞ্জিম ও আশেপাশের সমুদ্র সৈকত এবং নাইটলাইফের সঙ্গে তুলনা করলে, চোরাও দ্বীপ হলো—যেখানে আপনি সমস্ত কিছু ছেড়ে দিতে আসেন। কেননা এখানকার নীরবতা আপনাকে মুগ্ধ করবে।
রিবন্দর থেকে ফেরিতে করে চোরাও দ্বীপে যাওয়া যায়। ফেরি যাত্রাও খুব সহজ। মান্ডোভি নদীতে ১০ মিনিটের ফেরি যাত্রা আপনাকে জমকালো ম্যানগ্রোভের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবে।
আসল মজা অবশ্য শুরু হয় ফেরি থেকে নামার পর। ফেরি পয়েন্টের ঠিক মুখে, অত্যন্ত বিখ্যাত সেলিম আলী পাখি অভয়ারণ্যের প্রবেশদ্বার, যা ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাখি বিশেষজ্ঞ সেলিম আলীর নামে নামকরণ করা হয়েছে।ডক্টর সেলিম আলী ছিলেন একজন প্রখ্যাত পক্ষীবিদ ও ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের একজন। অভয়ারণ্যটি কিংফিশার, ঈগল, হেরন এবং অনেক প্রজাতির পরিযায়ী পাখিসহ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তৈরি করে। পুরো ভারত ও বিশ্ব থেকে পাখি পর্যবেক্ষক এবং প্রকৃতি প্রেমীরা এই এভিয়ান ওয়ান্ডারল্যান্ডের অভিজ্ঞতা নিতে আসেন। এই পাখি অভয়ারণ্য আপনাকে আপনার চোরাও অভিজ্ঞতার একটি ভালো শুরু দেবে।
এখান আপনি দেখবেন কোনো ভিড় নেই, কোনো যানজট নেই, কোনো ব্যস্ত রাস্তা নেই। গোয়ার অন্যান্য অংশের তুলনায় এখানকার রাস্তাগুলো শান্ত এবং আশেপাশের পরিবেশ সবুজ।গোয়ায় বেড়াতে আসা বেশিরভাগ লোকই শহরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি বা স্কুটি ভাড়া করে থাকে। আপনি যদি স্কুটিতে থাকেন তবে আপনিও এই দ্বীপে যাত্রা করতে পারবেন। ধীরে ধীরে রাইড করুন ও প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সবুজাভ উপভোগ করুন।আপনি পথে ছোট ছোট গ্রামের মধ্য দিয়ে যাবেন, স্থানীয়দের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অভিজ্ঞতার জন্য এগুলো সেরা উপায়। চোরাও দ্বীপের আকর্ষণ হলে নিখুঁত শান্ত জীবিকা, যা আপনাকে আকর্ষণ করবে।
great article
sildenafil canada paypal