কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য ও বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেছেন, আমাদের মনের শঙ্কা রয়েছে আজকের রাষ্ট্রপতি চুপ্পু সে আওয়ামী লীগের মনোনীত রাষ্ট্রপতি, আজকের সেনা প্রধান ওয়াকার সে শেখ হাসিনার আত্মীয়। ৫ই আগস্ট এর পরে সেই ওবায়দুল কাদের সেই নানক সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল। সেনাবাহিনী তাদের কি করলো? কেন তাদেরকে বর্ডার পার করে দেওয়া হল? হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে হবে, কেন তাকে সেনাপাহারায় সেনাবাহিনীর বিমানে বিদেশ পাঠালো?এই সেনাবাহিনী তারা আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়েছে। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে,এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। কিছু হিন্দুরা আছে ইসকনের নাম দিয়ে মাঝে মাঝে তারা আন্দোলন করে। এই ইসকন এর মধ্যে তারা হল ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী “র”এই র এয়ের মদের দ্বারা বিভিন্ন ঘটনা রটাচ্ছে । বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে,একটা অশান্ত পরিবেশ তৈরি করে আবার যাতে তারা ক্ষমতা কব্জা করতে পারে এই প্রচেষ্টা করাচ্ছে। বর্তমানে যারা দেশ চালাচ্ছে তিনমাসে নির্বাচনী কোন রোডম্যাপ দিতে পারেনি। এই সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সরকারের মেয়াদ হওয়ার কথা ৯০ দিন কেন ৯০ দিন পার হওয়ার পরেও কেন কয়েকদিন আগে আবার নতুন করে তিনজন প্রতিষ্ঠা নিয়োগ দেওয়া হলো? আপনাদের উদ্দেশ্য কি? আমরা জানতে চাই? আপনারা রোড ম্যাপ দেন কয়দিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে চান?জনগণের রায়ে একটা সরকার প্রতিষ্ঠা হবে তাতে নির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকবে। আপনাদের কি দায়বদ্ধতা আছে? ৫ তারিখের পরে মামবার একজন আসামি কি করে উপদেষ্টা হয়? গুলো জনগণের প্রশ্ন রয়েছে? ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সদরস্থ রোডে এ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, উপজেলা বিএনপিতে ঐক্যের বিকল্প নেই। দলের বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকল দফা বাস্তবায়নে একই মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি আরও বলেন, বরগুনার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন না হলেও শম্ভুর উন্নয়ন হয়েছে তার পরিবারের উন্নয়ন হয়েছে জাহাঙ্গীর মিয়ার উন্নয়ন হয়েছে। তাহলে বুঝুন আওয়ামী লীগ সরকার কি ধরনের লোপাট করে বিদেশে টাকা পাঠিয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল হক এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল আলম মামুনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এ.জেড.এম সালেহ্ ফারুক, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন(পিপি), কেন্দ্রীয় জিয়া মঞ্চের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান,জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সম্পাদক রেজা-উল-করিম বাবুল,জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাসুদুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বাবুল,জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাফরুল হাসান জাফর,জেলা যুবদলের সভাপতি কামরুজ্জামান জাহিদ মোল্লা,জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক রেজবি-উল আহম্মেদ,জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব স্বপন,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।
এছাড়াও জেলা ও উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এদিন বিকাল ৪টা থেকে আলোচনা সভা শুরু হবার কথা থাকলেও এর অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আলোচনা সভাস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। এসময় খণ্ড খণ্ড মিছিলে আলোচনা সভায় আগত নেতৃবৃন্দদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।