

কাতারে এসেছিলেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে। অথচ সেই স্বপ্নের শুরুতেই খেয়েছেন বড় এক ধাক্কা। প্রথম ম্যাচেই সার্বিয়ার বিপক্ষে চোটে পড়েছিলেন নেইমার। এরপর সেই চোট নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাবেন, এমন সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম পরের দিনই প্রকাশ করতে থাকে। অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়তে পারেন নেইমার।

ক্যামেরুন ম্যাচের পর তো ব্রাজিল দলের চিকিৎসকও নেইমারের খেলার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছিল, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যদি নাও যান, অন্তত সেমিফাইনাল বা ফাইনালের আগে মাঠে নামতে পারবেন না। সব আলোচনার ইতি ঘটিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন নেইমার, হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
মাঠে ফিরে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে যেমন খেলেছেন, তা নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথাই জানিয়েছেন পিএসজির ফরোয়ার্ড। দলও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জিতেছে হেসেখেলে, ৪–১ গোলে। এমন এক ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমে চোটে পড়ার পরের সময়টা নিয়ে কথা মনে বলেছেন নেইমার। বিশ্বকাপে আর খেলতে পারবেন না, এমন একটা শঙ্কা নাকি তাঁর মনেও ছিল, ‘চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে পেরে খুশি। যখন চোটে পড়ি, ওই রাতটা আমার জন্য কঠিন ছিল।’নেইমার এখানেই থামেননি।
তিনি এর সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘খুব ভালো খেলছিলাম আমি, ভালো একটি মৌসুম চলছে। এর মধ্যে এ রকম অ্যাঙ্কেলের চোট মেনে নেওয়া খুব কঠিন। ওই রাত আমি কেঁদে কেঁদেই কাটিয়েছি। নেতিবাচক অনেক কিছুই মাথায় এসেছিল। আবার বিশ্বকাপে খেলতে পারব কি না, এই ভেবে ভয়ে ছিলাম।’নেইমারের এই দুঃসময়ে অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভক্ত–সমর্থকদের শুভকামনা জানানো সেই বার্তা থেকেই প্রেরণা খুঁজে নেন নেইমার। ব্রাজিলের তারকা বলেছেন, ‘পরিবার, সতীর্থদের সমর্থন ছিল। আমাকে পাঠানো অনুপ্রেরণাদায়ক বার্তাগুলো শক্তি জুগিয়েছে। চোটে পড়ার পর যাঁরা এই বার্তাগুলো আমাকে পাঠিয়েছেন, প্রার্থনা করেছেন; সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’