বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাতে বেশি সময় নেই। এখন চলছে একদফার চূড়ান্ত আন্দোলন। এই আন্দোলনে ধাক্কা দিয়ে সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার যুদ্ধে নেমেছি।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য আয়োজিত ছাত্র কনভেনশনে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারপ্রধান এখন কোনো উপায় না পেয়ে চতুর্দিকে ঘোরাঘুরি করছেন যাতে কোনোভাবে গদি সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। তিনি বলেন, দুর্গাপূজার ছুটিতে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। জনগণের দাবি মেনে নিন। এখনো সময় আছে মানুষের পক্ষে চলে আসুন।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ বাজার করতে পারছে না। চাল-ডাল খেতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু লুটপাট বন্ধ নেই। এই অবস্থায় আপনাদের আর প্রয়োজন নেই। সরকারকে দানব উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব সবাইকে দৃপ্ত শপথে সরকারকে বিদায় করার আহ্বান জানান।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এবারের লড়াই বিজয়ের লড়াই। গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশ বর্তমানে একটা জরুরি অবস্থার মধ্যে আছে। স্বাধীনতার পর এমন খারাপ পরিস্থিতি আর হয়নি। দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় আসন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, লুণ্ঠনতন্ত্রের কবলে পড়ে দেশে কেউ আর ভালো নেই। দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। মানুষের কাছ থেকে সিরিঞ্জের মতো করে রক্ত চুষে নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বর্তমান সরকার শেষ রক্ষা পেতে এখন দেশ নিয়ে বাজি ধরছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়ার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে সব দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর জানান, আন্দোলনের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত তার দলের নেতা-কর্মীরা। তিনি বলেন, সরকার যতই গ্রেপ্তার করুক সবশেষ নেতা বাইরে থাকা পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। সারা দেশে মাত্র ৩০-৪০ জন পুলিশ কর্মকর্তা বাড়াবাড়ি করছে। তাদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে। কনভেনশনে সাবেক ছাত্রনেতাসহ সারা দেশ থেকে সরকারবিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।