জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন চা শ্রমিকরা

নিউজ ডেস্ক

চাঁন্দপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান সাধন সাঁওতাল বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে জীবন পরিচালনা করি। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আমরা মা বলে ডাকি। মা আমাদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছেন জেনে আমরা খুবই আনন্দিত।’

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের আশায় বুক বাঁধছেন হবিগঞ্জের চা-শ্রমিকরা। তাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির একটি সুন্দর সমাধান দেবেন এবং এতে শ্রমিকদের কাজে ফেরার পরিবেশ তৈরি হবে। ১৮তম দিনের মতো জেলার ২৪টি চা বাগানে শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে শ্রমিকরা নিজ নিজ বাগানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় এ বিষয়ে জানান তারা। প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পরও বিষয়টি সমাধান হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রী ও বাগানমালিকদের শনিবারের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।

শ্রমিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তাদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী একটি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তিনি যে সিদ্ধান্তই নেন না কেন, সেটাই মেনে নিয়ে কাজে ফিরবেন তারা।চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি ও তাদের কর্মবিরতির কারণে এ শিল্পে দেখা দেয়া সংকট নিরসনে চা-শিল্প মালিকদের সঙ্গে শনিবার আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, গণভবনে শনিবার বিকেল ৪টায় মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন কর্মসূচিতেও শনিবার বিকেল ৪টায় চা-বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। তবে বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চাঁন্দপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান সাধন সাঁওতাল বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে জীবন পরিচালনা করি। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আমরা মা বলে ডাকি। মা আমাদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছেন জেনে আমরা খুবই আনন্দিত।

শনিবার তিনি মালিকদের সাথে বৈঠক করবেন। আমরা আশা করি তিনি আমাদের একটি সুন্দর সমাধান দেবেন। তবে যে সমাধানই দেন না কেন, তিনি বললে আমরা কাজে ফিরে যাব।’ বাংলাদেশ নারী চা-শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, ‘আমরা ১৮ দিন ধরে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলনে আছি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিষয়টি নিয়ে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। যেহেতু আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক বিশ্বাস ও সম্মান করি এবং তিনি আমাদেরকে নিজের লোক মনে করেন, তাই তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তাই মেনে নেব। আশা করি তিনি ৩০০ টাকা না হলেও এর কাছাকাছি আমাদের মজুরি নির্ধারণ করবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button